ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি। সেই কারণে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়ে একটি মেল পাঠানো হয়েছে।
RG Kar কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তি সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তররা। তারপর রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। এবং সেই বৈঠকের পর আংশিক কর্মবিরতি তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
কী কী দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের?
প্রথম দাবি- RG কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রকৃত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি- স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রশাসনিক অক্ষমতা এবং দুর্নীতির দায় নিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে অতি দ্রুত তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে হবে।
তৃতীয় দাবি- রোগীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে রেফারেল সিস্টেম চালু করতে হবে।
চতুর্থ দাবি- সরকারি হাসপাতালে ফাঁকা বেডের তালিকা একটি মনিটারে দেখাতে হবে।
পঞ্চম দাবি- আন্দোলনকারীদের পঞ্চম দাবি অতি দ্রুত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে টাস্ক ফোর্স গঠন করতে হবে। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি রাখতে হবে।
ষষ্ঠ দাবি- জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি প্রতিটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে দায়িত্ব দিতে হবে পুলিশকে।
সপ্তম দাবি- অতি দ্রুত প্রতিটি হাসপাতালে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
অষ্টম দাবি- থ্রেট কালচার পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করতে হবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।
নবম দাবি- প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
দশম দাবি- পশ্চিমবঙ্গ হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে বেনিয়মের অভিযোগগুলির দ্রুত তদন্ত করতে হবে।
সোমবার রাত থেকে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে GB বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই ১০ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
এদিকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ফলে সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবায় সমস্যা হবে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ একদিকে দুর্গাপুজো অন্যদিকে কর্মবিরতি-এই দুইয়ে মিলে হাসপাতালগুলিতে রোগীরা পরিষেবা ব্যাহত হবে।