রাজ্যের স্কুলগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাত দফা নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই নির্দেশিকা স্টুডেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি মনিটরিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এই নিরাপত্তা কমিটিগুলোতে কারা থাকবেন এবং তাঁরা কীভাবে কতটা কাজ করবেন, তাও ঠিক করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কিংবা চেয়ারম্যান, এক জন মহিলা শিক্ষক, যদি কোনও কারণে স্কুলে মহিলা শিক্ষক না থাকেন সে ক্ষেত্রে পুরুষ শিক্ষক সেই দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও, এঁদের সঙ্গেই ওই নিরাপত্তা কমিটিতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, অভিভাবকদের তরফে দু’জন সদস্য ও পুলিশ প্রশাসন এবং পরিবার ও সমাজ কল্যাণ দফতর থেকে আমন্ত্রিত দুজন প্রতিনিধিও থাকবেন।
স্কুলে যাতে ম্যালেরিয়া কিংবা ডেঙ্গুর মতো রোগ না ছড়ায় তা নিয়েও সতর্কতা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার দেখভালের দায়িত্বও বর্তাবে সংশ্লিষ্ট কমিটির ওপরেই। ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখা, পানীয় জল, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী এবং আগত অতিথিদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, স্কুল চত্বরে সিসিটিভির ব্যবস্থা রাখা, এই সব বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে এই কমিটি।
যে সাতটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেগুলি হল:
১) প্রধানশিক্ষকের নেতৃত্বে স্কুলের নিরাপত্তার জন্য একটি কমিটি গঠন। যাতে থাকবেন স্কুলের ব্যবস্থাপক কমিটির সভাপতি ও দুজন অভিভাবক।
২) স্কুলের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিকে কড়া নজর। কোথাও জল জমতে দেওয়া যাবে না। ম্যালেরিয়া কিংবা ডেঙ্গুর মতো রোগ যাতে না ছড়ায়, তার দিকে সজাগ দৃষ্টি।
৩) স্কুলের পানীয় জল জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
৪) স্কুলের শৌচালয় ব্যবস্থার দিকে নজর। স্কুলের পড়ুয়া, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আগত অতিথিদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা।
৫) স্কুলের বিভিন্ন অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে।
৬) স্কুলের পাখা ও লাইট পরীক্ষা করতে হবে। কোনওভাবেই যাতে সিলিং-এ থাকা পাখা ভেঙে না পড়ে তার দিকে কড়া নজর।
৭) সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ও ট্র্যাফিক সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে স্কুলে আলোচনা ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রদর্শন করতে হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এই নির্দেশিকাটি জারি করেছেন সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ। স্কুলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি শাসকদলের শিক্ষকদের সংগঠন মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতি।