বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) শিক্ষকের বরখাস্ত ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে (President Draupadi Murmu) চিঠি দিয়েছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের একাংশ । এবার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে তাঁদের পাল্টা বক্তব্য রেখেছে বিশ্বভারতীও । কর্তৃপক্ষের দাবি, বরখাস্ত শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতেনা । ক্যাম্পাসে অশান্তি তৈরি করতেন । পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে যাঁদের সই রয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই নাকি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, যে শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে বিশিষ্টরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন, সেই শিক্ষককে ১৪ বার শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে। মাত্র দু’বার তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য হাজির হন । তখন তাঁর বক্তব্যে ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে তদন্তকারী কমিটি । এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অশান্তি, বহিরাগতদের নিয়ে এসে ঝামেলা করা...এসবের সঙ্গেও জড়িত ছিল সুদীপ ।
আরও পড়ুন, Abas Yojona: আবাস যোজনার হিসেব চেয়ে নবান্নকে ৫০০ পাতার চিঠি কেন্দ্রের
বিগত চার বছর ধরে বিশ্বভারতী সংবাদ শিরোনামে । বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে অভিযোগ উঠেছে । ছাত্রছাত্রীদের একাংশ এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । এসব নিয়েই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রায় ২৬১ জন শিক্ষাবিদরা । সেই তালিকায় রয়েছেন, নোয়াম চমস্কি থেকে অমর্ত্য সেনের কন্যা অন্তরা । বিষয়টি বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য যথেষ্ট মর্যাদাহানিকর বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদদের বড় একটি অংশ ।