সুড়ঙ্গ তাঁদের জীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। টানা ১৭ দিন জীবনের এক অন্য লড়াইয়ের যোদ্ধা তাঁরা। কিন্তু সুযোগ পেলে আবার তাঁরা সুড়ঙ্গে ফিরবেন। কাজ করবেন উন্নয়নের জন্য। উত্তরকাশী থেকে তাঁদের গ্রাম হুগলির পুড়শুরায় ফিরে একথা জানালেন বাংলার দুই শ্রমিক শৌভিক পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক। তাঁদের বরণ করল গোটা গ্রাম।
কালীপুজোর দুপুরে উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে আটকে গিয়েছিলেন শৌভিক ও জয়দেব। এরপর ১৭ দিনের কাহিনি সবার জানা। দুই ছেলের ঘরের ফেরায় অপেক্ষায় ছিল পুড়শুরা। ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরতে এখন স্বস্তি। স্থানীয় তোকিপুর স্টেশনেই তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির হয় গোটা গ্রাম। মালা পরিয়ে চলে বরণের পালা।
শৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা জানিয়েছেন, খুব সাধারণ খাবার খেতে ভালবাসে ছেলে। সেটাই তিনি রান্না করেছেন। ১৭ দিন চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি। অবশেষে এখন স্বস্তি। তাঁদের ছেলে গ্রামের গর্ব। কিন্তু আবার সুড়ঙ্গে পাঠাতে মায়ের মন কাঁপছে।