শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan Rape)নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার চার । রবিবার রাতে পাড়ুই থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়ে । ধৃতেরা হল সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরাম সোরেন । এরপর সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে । এই দুজনই নাবালক বলে জানা গিয়েছে । তবে, ঘটনার তিনদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত অধরা । তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।
বীরভূমের (Birbhum) পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকানো হয় । তার ভিত্তিতেই ওই চার অভিযুক্ততে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন, Nadia News : নদিয়ার চাকদহে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু, স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা ?
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ দেখায় বাম (CPIM) ও বিজেপি (BJP) । ধর্না মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম । অন্যদিকে, এদিন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার গ্রামে যায় । পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি । সেইসঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয় ।
বৃহস্পতিবার, শান্তিনিকেতনের মেলা থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাঁচ জন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী নাবালিকা বৃহস্পতিবার রাতে চড়কের মেলায় গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে গল্প করছিল । আচমকা জনা পাঁচেক যুবক সেখানে আসে । এর পর ছেলেটিকে মারধর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ । তাকে নিয়ে নদীর ফাঁকা চরে চলে যায় তারা । সেখানে মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করে ফেলে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ । ওই নির্যাতিতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ।
নাবালিকার প্রেমিকের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করায় পুলিশ ৷ ঘটনার তদন্তে গ্রামে যান খোদ বীরভূম পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ৷ আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজি ভরতলাল মীনাও ।