জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়েছে বঙ্গে। কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই নাচ-গানের মধ্য দিয়ে টুসুকে বিদায় জানাল বিষ্ণুপুরবাসী। যমুনার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হল চৌডল। সকাল থেকেই জমজমাট গোটা এলাকা।
একমাস ধরে চলে টুসু উৎসব। মকর সংক্রান্তির দিন টুসুকে বিদায় জানিয়ে শেষ করা হয় এই লোক উৎসব। তাই মকর সংক্রান্তির দিন সকাল থেকে টুসু বিদায়ের বেদনা ভরা সুর বাঁকুড়া জুড়ে।
টুসু এক লৌকিক দেবী যাকে কুমারী হিসেবে কল্পনা করা হয় বলে প্রধানত কুমারী মেয়েরা টুসুপূজার প্রধান ব্রতী ও উদ্যোগী হয়ে থাকে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় পালিত হয় এই উৎসব।
আরও পড়ুন - অজয়ের জলে ডুব দিয়ে মকর স্নান সারছেন পূণ্যার্থীরা, জয়দেব মেলায় ভিড় দর্শনার্থীদের
গ্রাম বাংলায় সারা রাত ধরে গানের সুর ভেসে আসে টুসু জাগরনে। পৌষ সংক্রান্তি অর্থাৎ মকরের ভোর থেকেই মেয়েরা গান গাইতে গাইতে টুসু দেবীকে নিয়ে হাজির হন স্থানীয় পুকুর কিংবা নদীতে। সেখানে টুসু বিসর্জন দিয়ে শুরু হয় পরের বছরের প্রতীক্ষা।