শুক্রবার থেকে শনিবার রাত। ঘড়ির কাঁটায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এখনও মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এরমধ্যে কয়েকটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু পাওয়া যায়নি সেই মোবাইল। যাকে ঘিরে যাবতীয় রহস্য দানা বাধছে। এরমধ্যেই তৃণমূল বিধায়কের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ দিল সিবিআই। আর সেটা পড়শি জেলা বীরভূমে। সিবিআইয়ের দাবি, বোলপুর পুরসভার এক অভিজাত এলাকায় পাঁচ কাটা জমি আছে বিধায়কের নামে। ফলে ঘুরে ফিরে সেই বীরভূম যোগই পাওয়া যাচ্ছে বড়ঞার ঘটনাতেও।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ব্যবসায়ী পরিবারে বেড়ে ওঠা জীবনকৃষ্ণ একসময় বীরভূমের স্কুলে সহ-শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। আর সেই সময় তৃণমূল এবং অনুব্রত মণ্ডলের সহচার্যে এসেছিলেন তিনি। মূলত ২০১২ সাল নাগাদ বীরভূমের স্কুলে পড়াতে গিয়েছিলেন বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই তখন থেকেই শিক্ষক বদলে যান প্রভাবশালীতে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরে ফ্ল্যাট, সাঁইথিয়ায় চালকল, আলুর দুটি স্টোরেজ এই সব কিছুই হয়েছে কয়েক বছরে। এছাড়াও বিধায়কের নামে সাঁইথিয়া মৌজায় পাঁচ কোটি টাকার জমি রয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি।
সিবিআইয়ের দাবি, জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালেও চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশিতে ভীষণভাবেই বেকায়দায় মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।