রবিবারেও নিস্তার নেই। ছুটির দিনেও জনসংযোগে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বীরভূমের মহম্মদবাজারে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় দিদির দূত বিশ্বজিৎ দাশকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। দুই জায়গাতেই একই অভিযোগ, খালি আশ্বাস আছে, কিন্তু কোনও পরিষেবা নেই। বীরভূমে সাংসদ শতাব্দীর আশ্বাস, খুব দ্রুতই গ্রামে জল আসবে। আর বাগদায় বিশ্বজিতের প্রতিশ্রুতি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আর পাঁচটা দিনের মতো বীরভূমে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। মহম্মদবাজারের ফুল্লাইপুরে তাঁর গাড়ি ঢুকতে তা আটকে দেন গ্রামবাসীরা। সাংসদকে ঘিরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, এই গ্রামে কবে জল আসবে ? রাজনৈতিক মহলের মতে, জল বীরভূমের সবচেয়ে বড় সমস্যা। জেলার এখনও অনেক গ্রাম রয়েছে, যেখানে কল থাকলেও জল নেই। গরম আসছে তার আগে ফের এই ইস্যু নিয়ে দাবি বাড়ছে গ্রামবাসীদের। গত বিধানসভা ভোটেও এই জল নিয়ে হিমসিম খেতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকেও। এদিন গ্রামবাসীদের কথা শুনে সাংসদের আশ্বাস, দ্রুত এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় উসকে উঠল লক্ষ্মীভাণ্ডার নিয়ে প্রশ্ন। বেশ কয়েকজন মহিলার অভিযোগ, নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা লক্ষ্মীভাণ্ডার থেকে টাকা পান না। অভিযোগ, এখানে প্রভাবশালীদের প্রভাবই চলে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বার দিয়েছেন দিদির দূত ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাশ। বিডিওকে এই ব্যাপারে বিষয়টি দেখতেও নির্দেশ দিয়েছেন।