গত ২৯ অগাস্ট দলের দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার জেরেই নাকি জহরের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আছে বলে খবর ছড়ায়। জানা যায়, তৃণমূলের রাজ্য়সভার হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন এই আমলাকে। কিন্তু ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির অ্যাডমিন ডেরেক ও ব্রায়েন। মোট সদস্য ১৩ জন সাংসদ। তাদের মধ্যে ছিলেন জহরও। তিনি বাদ পড়েছেন বলে খবর ছড়ায়। কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণ পর জানা যায়, কোনও গ্রুপ থেকে বাদ পড়েননি, তৃণমূলের রাজ্য়সভার সাংসদদের নতুন গ্রুপে জহর সরকারকে যোগ দেওয়ানো হয়েছে।
দলের একটা দিক পচে গিয়েছে। এই দল নিয়ে ২০২৪ সালে লড়াই করা মুশকিল। গত ২৯ অগাস্ট এই মন্তব্য়ই করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘটনা দেখার পর দাবি করেছিলেন, অবিলম্বে তাঁকে রাজনীতি ছাড়তে পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবার ও বন্ধুরা। জহরের এই বয়ান প্রকাশ্য়ে আসতেই কড়া অবস্থান নেয় তৃণমূল। কার্যত শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই জহরকে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা সুখেন্দুশেখর রায়।
এমনকী চিঠি দিয়ে তৃণমূলের অবস্থান পর্যন্ত জানানো হয়। ইতিমধ্যেই জহর জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথাতেই রাজ্য়সভার সদস্য হয়েছে। যদি মমতা তাঁকে না চান, তাহলে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে পারেন।