এ যেন ঠিক সুকুমার রায়ের হযবরল। 'ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল'। অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক ছিলেন বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুন। পেতেন মাত্র ৫ হাজার টাকা। আর কাউন্সিলর হতেই কপাল ফেরে তাঁর। মুনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট হাতে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের। অভিযোগ, ওই কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্ট থেকেও লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা।
১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টে জমা পড়া নগদ প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকার হদিশ জানতে চান তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা আসলে গরুপাচারের টাকা। সিবিআইয়ের আরও দাবি, কাউন্সিলরের অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় লেনদেন অনুব্রত বা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নির্দেশেই হয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ে। চার্জশিটে দাবি করা হয়, অনুব্রতের পরিবার থেকে বর্তমানে মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পান ওই কাউন্সিলর। এছাড়া তাঁর কোন আয় নেই বলেই জানানো হয়। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। বোলপুরের এক রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর নামে থাকা অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকা নগদ লেনদেনের তথ্য পান গোয়েন্দারা।