৩১ ডিসেম্বর, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১২ টা । শুরু হল বর্ষবরণের উদযাপন (New Year Celebration) । নাইট ক্লাব-পাবগুলিতে গানবাজনা, খাওয়া-দাওয়া । অন্যদিকে, পাড়ায় পাড়ায় ডিজে, বক্স চালিয়ে চলছে নাচ, গান । আর সেই সঙ্গে আতসবাজি ও শব্দবাজির (Fire Cracker) তাণ্ডব । বর্ষবরণের রাত নাকি দীপাবলি ? শনিবার রাতে কলকাতা (Kolkata) শহরজুড়ে যে পরিমাণ বাজি ফাটল, তাতে এমন প্রশ্নই জাগে । বাজি পোড়ানোর ফলে কলকাতায় বায়ুর মানও খারাপ খারাপ হল । নিষেধ সত্ত্বেও কীভাবে শব্দবাজি পোড়ানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।
গড়িয়া টু দমদম, গোটা কলকাতা শহরজুড়ে পুড়ল শব্দবাজি । সেইসঙ্গে ডিজে, মাইক চালানোর শব্দ । সল্টলেক, টালিগঞ্জ, কসবার মতো এলাকায় শব্দের তীব্রতা ছিল ৭০ ডেসিবেলের উপরে । বাদ গেল না হাসপাতাল চত্বরও । আরজি কর, এসএসকেমের সামনে সেই তীব্রতা ছিল ৬০ ডেসিবেলের কাছাকাছি । রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত যা ৪০ ডেসিবলের বেশি হওয়ার কথা নয় । অন্যদিকে, বাজি পোড়ানোর ফলে রাত ১২টার পর কলকাতায় বায়ুসূচকের মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায় । কোথাও সেই মান ২৮৫, কোথাও ৩২০ বা ৩১৫ ।
শব্দবাজি, জোরে মাইক বাজানো...এসব নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোনও লাভ হয়নি । গত দু'বছর করোনাকালে এসবের তীব্রতা ছিল না । কিন্তু, এবছর বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছে রাজ্যবাসী । বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করেই চলল সেলিব্রেশন । সেখানেই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।