আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমী। উৎসবের বেলা পড়ে এল। আর তো মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জার নামডাক গোটা বিশ্বে। চন্দননগরে অবশ্য এবার দশমীতে জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের বিসর্জন হচ্ছে না৷ বিসর্জন হবে একাদশীতে।
জগদ্ধাত্রী এক আশ্চর্য দেবী৷ তাঁর হাতে বিনাশ হয় অহংকারের৷ দেবী জগদ্ধাত্রীর গাত্রবর্ণ উদিত সূর্যের মতো। তাঁর বাহন সিংহের ঠিক নিচেই দেখা যায় হস্তি মুণ্ড। কিন্তু কে এই হাতি? সে কেন দেবীর বাহনের নিচে?পৌরাণিক কাহিনী বলছে, ওই হাতিই আসলে করীন্দ্রাসুর, যে নিজেই অহংকারের প্রতীক।
Jeet-Manush: সিগনেচার মশালা ছবি 'মানুষ' আসছে, প্রোমশনে ব্যস্ত জিৎ-সুস্মিতা
বহু সংগ্রামের পর অসুর দমন করেছিলেন দেবতারা৷ সেই সাফল্য দেবকূলে জন্ম দিয়েছিল অহংকার। দেবতারা মনে করেছিলেন মহিষাসুর নিধনের যাবতীয় কৃতিত্ব তাঁদেরই। এই অহংকার দমন করতেই দেবী মহায়ামা জগদ্ধাত্রী রূপে অবতীর্ণ হন। তিনি দেবতাদের দিকে ছুঁড়ে দেন একখণ্ড তৃণ৷ উদ্দেশ্য তাঁদের শক্তি পরীক্ষা করা।
মহাপরাক্রমশালী দেবরাজ ইন্দ্র থেকে শুরু করে অগ্নিদেব, বায়ুদেব, বরুণদেব কেউই সেই তৃণকে দমন করতে পারেননি। এরপর সালঙ্কারা দেবী জগদ্ধাত্রী আবির্ভূত হন, তিনি দেখিয়ে দেন অহং কত ঠুনকো, কত মূল্যহীন।
দেবতাদের অহংকারকে কল্পনা করা হয়েছিল হস্তি রূপে। এই হস্তিই করীন্দ্রাসুর, যা ছিন্ন মস্তক থাকে দেবীর বাহনের নিচে।