গবেষক ছাত্র শুভদীপ রায়ের আত্মহত্যার (Researcher Suicide) পর কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। শুভদীপের সুইসাইড নোটে অধ্যাপক চিরঞ্জীব মিত্রের (Chiranjib Mitra) নাম পাওয়া গিয়েছে। অধ্যাপক চিরঞ্জীবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভদীপের মা রঞ্জনা রায়। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল।শুক্রবার IISER ক্যাম্পাসের মেন গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
এদিন IISER-এর গেটের সামনে বিক্ষোভে বসেন রাণাঘাট সাংগঠনিক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। নদীয়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা রাকেশ পাড়ুই বলেন, "বিগত ছয়দিন পেরিয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বুঝতে পারলাম না, একটা কেন্দ্রীয় শাসিত ক্যাম্পাসে (IISER Campus) কী তদন্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা ক্যাম্পাসে সে পড়াশোনা করে। কিন্তু পরিচয়ে সে একজন ছাত্র। একজন ছাত্র মারা যাওয়ার পর কী তদন্ত (Investigation)করছে, তা মিডিয়ার কাছেও প্রকাশ্যে আসেনি। একজন গবেষক যখন মারা যায়, তখন সেটা কী গবেষকের মৃত্যু নাকি দেশের মৃত্যু। ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই প্রশ্ন, কী তদন্ত করা হচ্ছে, তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হোক।"
যদিও IISER-এর ডিরেক্টর সৌরভ পাল জানিয়েছেন, ঘটনায় ফ্যাক্ট চেকিং টিম তৈরি করা হয়েছে। পুলিশকে সব রকম সাহায্য করা হবে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৃত পড়ুয়ার মা রঞ্জনা রায় জানান, তাঁরা এই ঘটনার বিচার চাইছেন। যাঁর নাম সুইসাইড নোটে লেখা আছে, তাঁর নামেই অভিযোগ পরিবারের। শুভদীপের মা জানান, প্রপার গাইডেন্স পায়নি। মানসিকভাবেও প্রেশার দেওয়া হত। তাই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে তাঁর ছেলে।
আরও পড়ুন: গবেষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু আইসারে, পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস
IICER সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে কলকাতায় ফিজিক্যাল সায়েন্সে ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হন শুভদীপ। ২০১৫ সাল থেকে তিনি এক অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে গবেষণা শুরু করেন। অভিযোগ, সেই অধ্যাপক গবেষণার প্রয়োজনে তাঁকে সাহায্য করতেন না। এমনটাই অভিযোগ তাঁর পরিবার ও সহপাঠীদের একাংশেরও। শুভদীপের মা রঞ্জনা রায় এক পড়ুয়ার দাবি, এই সিস্টেমের অবিলম্বে পরিবর্তন করা হোক এবং সংস্কার করা হোক। এর প্রভাবেই পড়ুয়ারা চাপে পড়ছে।