ছেলের জন্মদিনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাবার । মৃত ব্যক্তির নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়(৩৫)। পাণ্ডুয়ার (Pandua) ইটাচুনা খন্যান অঞ্চলের ঘটনা । মৃত ব্যক্তি ওষুধ ব্যবসায়ী । তাঁর ওষুধের দোকান রয়েছে । সেইসঙ্গে পাণ্ডুয়ার ইটাচুনা খন্যান অঞ্চল তৃণমূলের (Trinamool Congress) কার্যকরী সভাপতিও ছিলেন তিনি । মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাঁর বন্ধু-আত্মীয় পরিজনদের । (Pandua Tmc leader death)
জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিন বিকেল পাঁচটার সময় দোকানে আসতেন রাজীববাবু । বঙ্কিম ঘোষ নামে ওষুধরে দোকানের কর্মচারী জানান, এদিন, রাজীববাবু ৫টার সময় দোকান আসেননি । এমনকী বেশ খানিকক্ষণ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁকে দোকানে দেখতে না পেয়ে পাশের দোকানদারও তাঁর খোঁজখবর নেন । কিন্তু,অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে, তিনি দোকানে আসছেন না দেখে শুরু হয় তাঁর খোঁজ নেওয়া । তখনই দোকানের পিছনের ঘরে দেখা যায় অর্ধেক শাটার খোলা । আলো জ্বলছে । ওই ঘরে ঢুকতেই রাজীবকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন দোকানের ওই কর্মচারী । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান তাঁরা ।
আরও পড়ুন, Partha Chatterjee : 'মানিক যা তা ভাবে টাকা নিচ্ছেন', পার্থর ফোনে মেসেজ, চার্জশিটে দাবি ইডির
খবর পাওয়া মাত্রই আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় । রাজীববাবুর আচমকা মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি । বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দল করেছে । ইটাচুনা খন্যান অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন । একটা শিক্ষিত ছেলে কী কারণে আত্মহত্যা করল জানি না । স্থানীয় বাসিন্দার জানাচ্ছেন, ওষুধের দোকান চালাতে গিয়ে অনেক ধার দিয়েছিল । গ্রামের গরীব মানুষরা এলে ফেরাত না । অল্প অল্প করে অনেক টাকা ব্যবসায় ঢুকে যায় । সেই টাকা আর আদায় করতে পারছিল না । একটা অবসাদ ছিল তাঁর ।
মৃতের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর । মৃত্যুর কারণ জানতে রাজীববাবুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ ।