মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ফের রক্ত ঝড়ল মালদহে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকারের খুনের রক্ত শুকনো হওয়ার আগে এবার কালিয়াচকে খুন হলেন রাজ্যের শাসক দলের আরও এক কর্মী। এই ঘটনায় গুরুতর জখম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কালিয়াচকের নওদা যদুপাড়া এলাকায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই এসেছিলেন অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ।
সেই সময় তাঁকে টার্গেট করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন বকুল। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হাসান নামের এক তৃণমূল সমর্থকের। ঘটনায় বকুল ছাড়াও আহত হয়েছেন আর এক তৃণমূল কর্মী এসারুদ্দিন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু জনের শরীর থেকেই প্রবল রক্তক্ষরণ হয়েছে।
কে বা কারা বকুলকে টার্গেট করে গুলি চালাল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জাকির নামের আর এক তৃণমূল নেতারা নাম উঠে আসছে। যদিও মুখে কুলুপ জেলা তৃণমূল নেতাদের।
নতুন বছরের গোড়ায় মালদহে খুন হয়েছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার। এই ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল নেতাও। এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন দুলাল সরকারের স্ত্রী।
দুলালের মৃত্যুর পর পুলিশের উপরেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে তিনি কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মালদহের পুলিশ সুপারকে। দুলালের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে কড়া পদক্ষেপের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সেই ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ফের গুলি চলল সেই মালদহতে। সরকারি অনুষ্ঠানের শিলান্যাস করতে গিয়ে টার্গেট হয়ে গেলেন কালিয়াচক ব্লকের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ।