বেহালা চড়কতলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষের (Behala TMC inner Clash) আঁচ পৌঁছাল এবার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বাড়িতে । বৃহস্পতিবার সকালে রত্নার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একদল মহিলাকর্মী । ঘটনায় তৃণমূল যুবনেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়েছে । উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে ।
জানা গিয়েছে, সকালে বাড়ির পাশেই অফিসে বসে যখন জনসংযোগের কাজ সারছিলেন বিধায়ক, সেই সময় তাঁর অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা । সূত্রের খবর, এদিন সকালে বিধায়কের বাড়িতে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে যান, তাঁরা সোমনাথের পরিবারের লোকজন এবং তাঁর অনুগামী । তাছাড়া, ধৃত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজনও ছিল । বিধায়কের কাছে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপের দাবিও করেন তাঁরা । যদিও, রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে । অন্যায় করলে রাজনৈতিক রং দেখে বিচার করা হবে না ।
আরও পড়ুন, Sougata on Haskhali : মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে নারী নির্যাতন লজ্জার, বললেন সৌগত
মঙ্গলবার রাতে চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা । জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে ঘটনার সূত্রপাত । প্রথমে ইট ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুর শুরু হলেও এরপর গুলি চলে(Shoot at Behala) বলেও অভিযোগ । স্থানীয়দের দাবি, মোট সাতবার গুলির আওয়াজ পেয়েছেন তাঁরা । ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন । এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি ।
জানা গিয়েছে, এলাকার এক মন্দিরকে ঘিরে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখের আগে চড়কের মেলা(Charak Mela) হয় । সেই মন্দির ও মেলার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত । এই এলাকা দখলের নেপথ্যে উঠে এসেছে বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তানা ভট্টাচার্য নামক দুই দুষ্কৃতীর নাম । মূলত ১২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুগামীদের সঙ্গে এই দুষ্কৃতীদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।