হেফাজতে অনুব্রত। আর অনুর বচন রাজ্য়ের প্রায় সর্বত্র। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা সব জায়গা থেকেই হুঁশিয়ারির দাওয়াই। হুঁশিয়ারি বিরোধীদের দিকে। শনিবার তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মমতাদি একটা ভুল করেছেন। আমি এখন মনে করছি তাই। দিদির সমালোচনা করা আমার উচিত নয়। কিন্তু আমার এখন যেন মনে হচ্ছে। আগে মনে হয়নি কখনও। ‘বদলা নয়, বদল চাই’-এর বদলে ‘বদলা চাই’— এটাই হওয়া উচিত ছিল। আমাকে ক্ষমা করবেন মমতা’দি। আমি বলে ফেললাম।' একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় মানসিকতা। যা বোঝার কোনও ক্ষমতা নেই বিরোধীদের।
হুগলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনা। হুঙ্কার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর। তাঁর নিশানায় আবার বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যদিও এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সকল স্তরের কর্মীদের শান্ত থাকারই অনুরোধ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, বিরোধীরা প্ররোচনা তৈরি করবে। কিন্তু তাতে পা দেওয়া উচিত নয়।
পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, ধ্বংস অনিবার্য বুঝে তৃণমূল নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সবটাই মানুষ দেখছে। যা কিছু জবাব মানুষ জবাব দেবে।