বুধবারও সকালে তৃণমূল নেতার উপর হামলার পর ফের এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, কেন প্রতিদিন তাঁদের আতঙ্কে দিন কাটাতে হবে ? কেন রাস্তায় বেরোলে তাঁদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই ? কোথায় পুলিশ আর কোথায় প্রশাসন ?
বুধবার সকালের ঘটনাও হয়েছে জগদ্দল থানার একদম নাকের ডগায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হাঁটতে হাঁটতে এসেই তৃণমূল নেতা অশোক সাউকে টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। পালঘাট রোডের চায়ের দোকানে বসে তখন সবার সঙ্গেই চা খাচ্ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি।
সম্প্রতি ওই এলাকায় আকাশ বলে এক যুবক খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতরা এখন জামিন মুক্ত। সেই ঘটনার সঙ্গে এদিনের ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজ্যের ছয় উপ-নির্বাচনের দিনেই ভাটপাড়ায় খুন তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। এই ঘটনার পরে পুলিশকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন বারাকপুরে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন বর্তমান সাংসদ পার্থ ভৌমিক।
একসময় টোল পণ্ডিতদের এলাকা ছিল এই ভাটপাড়া। আশি ও নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এই এলাকায় সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। সংস্কৃতি আবদ্ধ ভাটপাড়া পরিণত হয় গ্যাংওয়ার আর বোমাবাজি আখড়া হিসাবে। এই ঘটনার পর তৃণমূল সাংসদের দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যেই ভাটপাড়ায় শেষ হবে অর্জুন সিংয়ের সন্ত্রাস রাজ। অর্জুনের পাল্টা, যতদিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকবে, ততদিন জগদ্দল-ভাটপাড়া এ ভাবেই চলতে থাকবে।