আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমে সংগঠনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সোমবার দুবরাজপুরে বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে করে একথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে দায়িত্ব বাড়ানো হল জেলা রাজনীতিতে অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত শতাব্দী রায় এবং কাজল শেখের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের প্রেক্ষাপটে তৃণমূল নেত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ভীষণভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে বলে দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে রাজনৈতিক জীবনে অনুব্রত মণ্ডলের শেষের শুরু হয়ে গেল ? সেই প্রশ্নও উঠল জেলার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মনে। এদিন প্রায় ৭০ জন এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। পঞ্চায়েতের কৌশল নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। বৈঠকেই মমতা জানিয়েছেন, অনুব্রত না থাকায় কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ এখন থেকেই বীরভূমের সংগঠনকে নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রীর এবারের বীরভূম সফরের আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল পোস্টার থেকে হোডিং - কোথায় অনুব্রত মণ্ডলের ছবি রাখা যাবে না। জেলা নেতৃত্বকে খুব স্পষ্ট করে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই নির্দেশের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল একটা বড় সিদ্ধান্ত। যা সামনে আনলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল সূত্রের খবর, দুবরাজপুরের এদিনের বৈঠকে কীভাবে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে, তার প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। জেলা নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই নীল নকশা তৈরি করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রত মণ্ডলকে যে পাওয়া যাবে না, তা আগাম আঁচ করেই এদিন তৃণমূল নেত্রীর এই ঘোষণা। কারণ, গরুপাচার মামলায় রোজই আদালতে ধাক্কা খাচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাই সময় নষ্ঠ না করে অনেক আগে থেকেই সংগঠনের রাশ নিজের হাতে তুলে নিলেন মমতা।