আচার্য (Chancellor) মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা (West Bangal Stat Cabinet)। নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এর আগের বৈঠকেই রাজ্যর সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) আচার্য পদ থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। এদিন সেই প্রস্তাবেই চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের শিক্ষাকে রাজভবনের (Govenor House) বেড়াজাল থেকে বার করতেই কার্যত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণী এবং মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবেও মুখ্য়মন্ত্রীর নাম অনুমোদন করা হয়েছে।
রাজ্য মন্ত্রিসভা আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীর নামে অনুমোদন দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তা কার্যকর করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। ১০ জুন থেকে বিধানসভায় শুরু হবে বাদল অধিবেশন। মনে করা হচ্ছে, এই অধিবেশনেই এই বিল পাস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তা আইন করতে প্রয়োজন রাজ্য়পালের সই। আর এখানেই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। এখনও পর্যন্ত বাংলার সব বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ওই একইপদে তাঁর নামের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর নামে সিলমোহর বসবে কীনা, সেটা নিয়েই এখন প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের মতে। তাই তাদের আশঙ্কা, আচার্য মুখ্যমন্ত্রী এই আইন কার্যকর হতে বেশ দেরিই হতে পারে।
যদি রাজ্যপাল এই বিলে সই না করেন, তখন কী হতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা যেহেতু যুগ্ম তালিকাভুক্ত। তাই দু বার যদি এই বিল রাজ্যপাল খারিজ করে দেন, তাহলে এই বিলে সইয়ের জন্য যেতে পারে রাষ্ট্রপতির কাছে। ফলে সেক্ষেত্রে আরও সময় লাগতে পারে বলেই আন্দাজ ওয়াকিবহাল মহলের। তবে রাজ্য চাইলে অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে এই বিল কার্যকর করতে পারে। তবে তা কার্যকর থাকবে ছয় মাসের জন্য।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনতিতেই বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন। এরআগে উপাচার্যদের নিয়ে ডাকা তাঁর বৈঠক এড়িয়েছিলেন উপাচার্যরা। ফলে সবমিলিয়ে বিধানসভায় এই বিল পাস হলে, তার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা দেখতেই আগ্রহী বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।