পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা-র খুনে পেশাদার খুনিদের হাত থাকতে পারে বলে দাবি তদন্তকারীদের। মূলত, পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে এসে এই অপারেশন করা হয়েছিল বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই সিট তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতী ধরতে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড গিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। রবিবার এই ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে দুষ্কৃতীদের গাড়ি।
শক্তিগড়ের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে ল্যাংচার দোকানের সামনে গোটা অপারেশন চলেছিল পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে। ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে জামালপুরের দিকেই পালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। তার কারণ, ঘটনাস্থলের কিছু দূর থেকেই তাদের নীল রঙের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে থেকে এই গাড়ি উদ্ধার হয়েছে, তা জামালপুরের দিকে যায় বলেই পুলিশের দাবি।
পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি রাজু কার ? এই তরজা এই ঘটনার পর থেকে চলছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার তরজায় জড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এমনকী এই রাজু গরুপাচারের অন্যতম কিংপিন আবদুল লতিফের ঘনিষ্ট বলেও পুলিশের দাবি। কারণ, শনিবার ঘটনার রাতে লতিফের গাড়িতেই ল্যাংচার দোকানের সামনে এসেছিল নিহত এই কয়লা ব্যবসায়ী।