সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রেফতারির পিছনে ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়েও আদালত ব্যাখ্যা চেয়েছে। গ্রেফতারি ‘বেআইনি’ দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাম্পি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা)। সেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের অভিযোগ লিখে থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এর নেপথ্যে নাম উঠেছিল পিয়ালির।
South 24 Parganas News : দুই বোনকে কুপিয়ে খুন, কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ
রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, এ ভাবে কাউকে গ্রেফতার করাই যায় না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনারা হয়তো এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি অন্তত মেনে চলুন।’’ পাশাপাশি মাম্পিকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও জানায় আদালত। উল্লেখ্য, পিয়ালির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন স্থানীয় এক মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পিয়ালির বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়।