শনিবারের পর নতুন করে উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। নাবালিকা পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল স্থানীয় মহিষমারি গ্রামে। রবিবার বিজেপির কুলতলি থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আরও একবার উত্তেজনা তৈরি হল। পুলিশের বিরুদ্ধে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রতিবাদে দু জনেই কুলতলি থানার সামনে অবস্থানে বসে পড়েন।
এদিকে,নিহত পড়ুয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একটি দল। ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, তাঁদের তরফ থেকেও ছয় জনের একটি দল জয়নগর যাবেন। এই অবস্থায় শনিবার কাঁটাপুকুর মর্গের সামনে পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধরের বিরুদ্ধেও।
শনিবার থেকেই বিচার চেয়ে পথে নেমেছে মহিষমারি। প্রায় রাতভর রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এদিন ঘটনাস্থলে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। পুলিশের দাবি, দুই বিজেপির দুই নেতা ঘটনাস্থলে গেলে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। কুলতলি থানার সামনে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়।
মহিষমারির ঘটনায় শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। যা অস্বীকার করেছেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়েরে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।