রায় পড়ে শোনাচ্ছিলেন বিচারক। তখন যেন আদালতকক্ষে পিন পড়লেও শোনা যাবে। হঠাৎ শোনা গেল কেউ যেন কাঁদছে। থমকে গেলেন বিচারকও। ফের রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক। রায়ঘোষণা হতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি অপরাধী সুশান্ত চৌধুরী (Sushanta Chowdhury)। কান্নায় ভেঙে পড়লেন। সেই কান্না ছাপিয়ে ভেসে এল আরও একটি আর্তনাদ। মেয়ের নাম ধরে আর্তনাদ করেন তরুণীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী। সুশান্তের ফাঁসির সাজা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। এমনই মনে করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বহরমপুরে (Berhampore) আদালতের বাইরে বেরিয়ে স্বাধীন চৌধুরী বলেন, "এই ঘটনায় একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। এই ধরনের ঘটনার শাস্তি যদি মৃত্যুদন্ড না হয়, তাহলে তা আরও বাড়বে। এমন ঘটনা না ঘটে, সেই বার্তাই এই শাস্তির মাধ্যমে গিয়েছে।" এদিন আদালতে বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক রায় পড়ে শোনান। রায়ঘোষণার পরই কেঁদে ওঠেন প্রধান অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। আসামী পক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, "আমার মক্কেল একজন মেধাবী ছাত্র। তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আবেদন করেছিলাম। মহামান্য আদালত মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।" মক্কেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ড, সুশান্তকে ফাঁসির সাজা আদালতের
সুশান্তের বাড়ি খনি বাথানি গ্রামে । ইংরেজবাজারে পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। ধরা পড়ার পর সুশান্ত জানিয়েছিল, সুতপার সঙ্গে তাঁর একটি মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল। খুনের কয়েকদিন আগেই সুশান্তের একই ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটমাধ্যমে ভাইরাল এই ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় সুশান্তকে । সেইসঙ্গে রয়েছে ভালবাসার মানুষের উদ্দেশে তাঁর আবেগতাড়িত বার্তা । সুশান্তর পরিবারের দাবি ছিল, ওই মহিলা সুতপা ছাড়া আর কেউ নয় ।