প্রাক্তন প্রেমিকাকে এক ঝলক দেখতে এসেছিলেন। ঘৃণা ও উগ্র প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই সুতপা চৌধুরীরে কুপিয়ে খুনের সিদ্ধান্ত। পুলিশ সূত্রে খবর এমনই। মঙ্গলবারই তাঁকে ১৫ মাস পর দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার জেলা দায়রা আদালতে সুশান্ত চৌধুরীর ফাসির সাজা ঘোষণা করে।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, সুতপার সঙ্গে এক তরুণের ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারে সুশান্ত । তথ্য বলছে, জঙ্গিপুর কলেজের ছাত্র ওই তরুণের সঙ্গেই খুনের দিন সিনেমা দেখতে যান সুতপা (Sutapa Chowdhury Murder)। সুশান্ত সে কথা জানতে পেরেই চরম সিদ্ধান্ত নেয় । এমনটাই সে জানায় পুলিশকে ।
সুতপার পরিবারের দাবি ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে অভিযুক্ত সুশান্ত । খুনের আগেও বার কয়েক হুমকি দিয়েছিল । সুশান্তর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সব জায়গায় ম্যাডামজি-কে (Madamji) নিয়ে উঠে আসে ভুরিভুরি পোস্ট। এই ফেসবুকেই সুতপাকে খুনের হুমকিও দেয় সুশান্ত ।
আরও পড়ুন: ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত, কী বললেন সুতপার প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত!
সেদিন ঘটনার সময় বহরমপুরের জনপ্রিয় মোহনের মোড়ে সিনেমা দেখে ফিরছিলেন বহরমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা। মেসে ফেরার সময় তাঁর পিছু নেয় প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত। এরপর মেসের সামনের গলিতে সুতপাকে একা পেয়ে কথা কাটাকাটি, শেষে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত। তাঁর ওই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীরাও। বৃহস্পতিবার এই মামলার ১৫ মাস পরে আদালতে বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক ফাঁসির নির্দেশ দেন। শেষ হয় রাজ্যের অন্যতম হত্যাকাণ্ডের শেষ দৃশ্য।