আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শুভাপ্রসন্নর (Subhaprasanna) 'পানি','দাওয়াত' নিয়ে মন্তব্য ও তার বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রীর সরব হওয়া নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে । সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মত, শুভাপ্রসন্ন অত্যন্ত 'বাড়াবাড়ি' করছেন । ৭৬ বছরের বুদ্ধিজীবীকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ওঁর কোনও জমি বা কমিটির পদ লাগবে কি না সেই বিষয়ে দলের কথা বলা উচিত । তাহলেই ঝামেলা মিটে যাবে । পাল্টা শুভাপ্রসন্নের মন্তব্য,এই বয়সে এসে তাঁর আর কিছু নেওয়ার নেই । তিনি যা ত্যাগ করেছেন, তা সবাই জানে ।
শুভাপ্রসন্ন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, "শুভাপ্রসন্ন যদি সত্যিকারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভানুধ্যায়ী হন, তাহলে তাঁর উচিত এই অবাঞ্ছিত মন্তব্যগুলি বন্ধ করা । অকারণে বিতর্ক তৈরি করছেন । আমাদের দলের কারও ওনার সঙ্গে কথা বলা উচিত, ওঁর কোনও জমি বা কমিটির পদ লাগবে কি না… তাহলে সব ঝামেলাগুলো মিটে যায়।" পাল্টা শুভাপ্রসন্ন বলেন, "কুণাল আমার অতি কাছের ও পরিচিত । ওকে আমি আর কী বা বলব? আমি কী করেছি, বা কী পেয়েছি, তা সবাই জানে । এ বিষয়ে এর থেকে বেশি কিছু আর আমার বলার নেই। ৭৬ বছর বয়সে এসে আমি আর কী নেব? আমি যা ত্যাগ করেছি, তা সবাই জানে ।"
উল্লেখ্য, মাতৃভাষা দিবসের এক অনুষ্ঠানে ‘পানি’ বা ‘দাওয়াত’-এর মতো শব্দগুলির বাংলা ভাষায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ আপত্তির কথা শুনিয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন । ওই মঞ্চেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিরোধিতা করে বলেছিলেন, "দাওয়াত বা পানি এই শব্দ গুলি ওপার বাংলার। যাঁরা ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসেছেন, তাঁরা ওই ভাষাকেই গ্রহণ করেছেন। সেক্ষেত্রে কারও মাতৃভাষাকে বদলে ফেলা যায় না । " মুখ্যমন্ত্রীর ব্যখ্যাকে সমর্থন জানিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির মতো সাহিত্যিকরাও । কিন্তু, শুভাপ্রসন্ন তাঁর দাবিতেই অনড় রয়েছেন । তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী 'রাজনৈতিক অসুবিধার' জন্য আপত্তি জানিয়েছেন । তাঁর অভিযোগ, তিনি রাজনীতি করেন না। তিনি নির্বাচনে লড়াই করেন না। তাই কোনও সম্প্রদায় বা শ্রেণিকে খুশি করা তাঁর কাজ নয়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই অভিযোগ করে যেন পানি ও দাওয়াত শব্দ দুটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যখ্যার অসন্তোষই দেখাতে চেয়েছেন তিনি ।