দক্ষিণ দমদম পৌরসভার (South Dumdum Municipality) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। ছাপ্পা ভোটের (False Vote) অভিযোগ তুলতেই বিজেপি প্রার্থী রাখি ভট্টাচার্যকে (Rakhi Bhattacharya) মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের (TMC) বিরুদ্ধে। সাতগাছি ইউপি স্কুলের বুথে তাঁকে ও তাঁর এজেন্টকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী কস্তুরী চৌধুরীর (Kasturi Chowdhury) স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী রাখি ভট্টাচার্য।
এদিন বিজেপি প্রার্থী রাখি ভট্টাচার্য বলেন, "টিএমসির ক্যান্ডিডেট কস্তুরী চৌধুরীর স্বামী পিছন পিছন ঘুরছে। ভীষণ বাজে গালাগালি দিচ্ছে। শারীরিক নিগ্রহ করার চেষ্টা করেছে আমাকে। আমি আইডেন্টিফাই করেছি, এরা ফলস ভোটার। একটা বুথে বারবার একই লোক ঘুরছে। একটা থেকে আরেকটা বুথে গিয়ে যখন ধরেছি, তখন প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ বলছে, আপনার জন্য ঝামেলা বাধছে। আপনি বেরিয়ে যান। তারপরই মহিলারা আমাকে আক্রমণ করেন। আমাকে চুলের মুঠি ধরে, চোখে ঘুষি মারে। আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বুথ থেকে বের করে দিয়েছে। এই নির্বাচন আমি মানি না। এক তরফা নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচন কমিশন অপদার্থ।"
আরও পড়ুন: বেলা বাড়তেই পুরভোটের উত্তেজনা, কৃষ্ণনগরে ভোটে লাইনে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিজেপি প্রার্থী রাখি ভট্টাচার্যের অভিযোগ, "এজেন্টদের ধাক্কা দিয়ে মেরে বের করে দিয়েছে। অনেকদিন ধরেই চলছে এসব। বর্তমানে এখানে যে বিধায়ক অদিতি মুন্সী, তাঁর তোলাবাজ স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর ক্যাডার এরা। ২ কোটি টাকা নিয়েছে। আর প্রতিটা বুথে অন্যায়ভাবে অত্যাচার করছে। যারা হামলা করেছে, বঙ্কু সরকার, ওঙ্কু সরকার, সুভাষ সরকার, বিশ্বনাথ সর্দার, অমিত চক্রবর্তী। সোমনাথ চক্রবর্তী ও দেবরাজ চক্রবর্তীর টিম এখানে ছিল।"