কুম্ভবেলায় গুড়-বাতাসা ! অনুব্রত মণ্ডলের এই দাওয়াই রাজ্যের শাসক দলের উদ্যোগে নয়। নদিয়ার মাঝেরচড়ে প্রায় সাতশো বছর পরে হওয়া এই কুম্ভমেলায় গুড়-বাতাস ও জল তুলে দিলেন বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হিসাবে দাবি করা হয়েছে, গত তিনদিন জনসংযোগের এই অস্ত্রে বেশ শান পড়েছে। কারণ, এই সময়ের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের হাতে তাঁরা গুড়-বাতাসা ও শুদ্ধ পানীয় জল তুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বামেদের এই নতুন জনসংযোগকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। এতদিন পুজোর সময়ে বামেদের বইয়ের স্টলই ছিল জনসংযোগের হাতিয়ার। কিন্তু এবার সরাসরি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জলসত্র বসানো হল। যদি তৃণমূল-বিজেপির কটাক্ষ উড়িয়ে বাম নেতাদের দাবি, এটা একটা সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়া আর কিছুই নয়।
কল্যাণী শহর থেকে কিছুটা দূরেই মাঝেরচড়। সেখানে বসেছে বাংলার প্রাচীন কুম্ভমেলা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিজেদের জনসংযোগকে ঝালিয়ে নিতে এই মেলাকেই এবার পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই-এর কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, এই মেলায় তাঁরা শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক হিসাবেই কাজ করেছে। এখানে কোনও রাজনীতি ছিল না। মূলমঞ্চে জলসত্র বসিয়ে সামাজিক কাজে নিজেদের ব্রতী করেছিলেন।
কিন্তু তাঁদের এই উদ্যোগকে এখন রাজনৈতিক ভাবেই কটাক্ষ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, উদ্যোগে হয়তো কোনও ভুল ছিল না। হয়তো কৌশলে খানিক ফাঁক থেকে গিয়েছে। তার জেরেই কুম্ভমেলায় বামেদের এই উদ্যোগ এখন কেষ্ট-কাহনের সামিল।