১০ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের সমর্থনে প্রতীকী অনশন চালাচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনশন করছেন তাঁরা। এবার অনশন তোলার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করছেন স্বয়ং সিনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করা সঠিক নয়। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অনশন তোলার অনুরোধ করছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকালেই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসদের প্রতিনিধিরা অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁরা জানান, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের সন্তানসম। পশ্চিমবঙ্গের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের অনুরোধ নিয়ে তাঁরা সেখানে গিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সরকার কাছ থেকে দাবি ছিনিয়ে আনতে হবে। কিন্তু অনশন থেকে সরে আসার দরকার। কারণ এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে মঙ্গল ও বুধবার রাজ্যজুড়ে প্রায় ২৫০ সিনিয়র চিকিৎসক গণ ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, গণইস্তফায় কাজ না হলে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত প্রত্যেকে।
গণইস্তফার খবর প্রকাশ হতেই সাধারণ মানুষের অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাহলে কি এবার থেকে সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারদের পাওয়া যাবে না? পাশাপাশি সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করবে সেই নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের প্রাক্তন সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ভাবে গণইস্তফা গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ করে দেবেন এমনটা নয়। সূত্রের খবর, সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে গেলে ব্যাক্তিগতভাবে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হবে। এবং সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হলে নির্দিষ্ট সময় পর কাজ থেকে অব্যহতি পাবেন।
তাঁদের বক্তব্য, চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হলে ইস্তফাপত্র লিখে তা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি পোস্টিং, পদ, কাজের জায়গা সহ সব তথ্য দিতে হবে। একটি পাতায় সব চিকিৎসকরা সই করে জমা দিলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রাক্তন সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, কয়েকবছর আগে রাজ্য সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল, কোন চিকিৎসক ইস্তফা দেওয়ার পরের দিন থেকে কাজ বন্ধ করে দিলে চাকরি পরবর্তী সব বকেয়া আটকে দেওয়া হতে পারে। সুতরাং গণইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, যাঁরা গণইস্তফা দিচ্ছেন তাঁরা যে কাজ বন্ধ করে দেবেন এমনটা নয়। কাজ চালিয়ে যেতে হবে তাঁদের। তবে রাজ্যের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় এর মাধ্যমে।