বৃহস্পতিবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন সন্দীপ ঘোষ । এই নিয়ে টানা ১৪ দিন সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ । উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার কেটে গিয়েছে ২০ দিন । কিন্তু, এখনও তার কিনারা হয়নি । ঘটনার তদন্তভার রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে । এদিকে, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারির দাবি উঠছে সর্বত্র । খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না ? ইতিমধ্যেই ১০০ ঘণ্টা জেরার বেশি সম্মুখীন হতে হয়েছে সন্দীপকে । তারপরও কেন অধরাই থাকছেন সন্দীপ ? প্রশ্ন উঠছে সব মহলে ।
একনজরে সন্দীপের সিবিআই জেরা
১৫ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্ট আরজি করের দায়িত্ব দেয় সিবিআইকে ।
১৬ অগস্ট । সিবিআই দফতরে প্রথম হাজিরা সন্দীপের । তাও , সেদিন রাস্তা থেকে তুলে সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লক্সে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই ।
তারপর থেকে প্রতিদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন । বৃহস্পতিবার ১৩তম দিন । যদিও, এর মাঝে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই । মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ছাড়াও আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার জোড়া আতশকাচের তলায় রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ । তারই তদন্তে সন্দীপের বাড়িতে প্রায় ১৩ ঘণ্টার বেশি তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা । বাড়ি থেকে তদন্তে সহায়ক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
এদিকে, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ন্যাশনাল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন আগেই সাসপেন্ড করে সন্দীপকে। 'মৃত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় সমব্যথী ও সংবেদনশীলতার অভাব ছিল, এই কারণ দেখিয়ে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে IMA-এর ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অভিষেক সন্দীপের গ্রেফতারির দাবি তুলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, কবে গ্রেফতার করা হবে সন্দীপ ঘোষকে ? একইসঙ্গে মোদী সরকারের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেকের দাবি, ক্ষমতায় থাকলে দেশে ধর্ষণবিরোধী কড়া আইন তৈরি করে দেখাক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মতে, একরাতের মধ্যে যদি নোট বাতিল, লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত হতে পারে, তাহলে ধর্ষকদের কড়া শাস্তি দিতে আইন আসবে না কেন ? অভিষেক মনে করে, যারা এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই।