উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। শুক্রবার সারা দিন দফায় দফায় সন্দেশখালি থানার সামনে যৌথভাবে বিক্ষোভ দেখায় জমিরক্ষা কমিটি ও আদিবাসীদের সংগঠন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ উঠে গেলেও বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, শনিবারও আন্দোলনে সামিল হবেন তাঁরা। এরপরই শুক্রবার রাতেই বিশাল বাহিনী দিয়ে সন্দেশখালি থানা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা সন্দেশখালি যান। এরপরই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
শনিবার সকালে সন্দেশখালির পরিস্থিতি এখনও থমথমে। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ দোকানপাটও। শনিবার পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তা নিয়ে তৎপর পুলিশ প্রশাসনষ শুক্রবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি সেই সময়ের মতো নিয়ন্ত্রণে আছে। ৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অত্যাচার চালান শাহজাহানরা। জোর করে জমি দখল, কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। টাকা চাইতে গেলে মারধরও করা হয়। তৃণমূল নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জমি ফেরত চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।