RG কর হাসাপাতালের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তিনি। বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে কেমন দিন কাটছে সন্দীপ ঘোষের?
জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেলের ১০ নম্বর সেলে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। যদিও একদম প্রথমে তিনি ২২ থেকে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর সেলে ছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে সরিয়ে পয়লা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর সেলে সর্বক্ষণের জন্য রয়েছেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। ওই ওয়ার্ডেই রয়েছেন RG কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। যদিও তাকে অন্য একটি সেলে রাখা হয়েছে।
জেলের দেওয়া খাবারই খাচ্ছেন সন্দীপ ঘোষ। খাবার সময়ও নিরাপত্তারক্ষীরা সজাগ থাকছেন। তবে এই মুহূর্তে কারোর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। আগামী ১২ দিন ওই সেলেই কাটাতে হবে তাঁকে।
আরজি করের ঘটনা সামনে আসতেই উঠে আসে সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। অগাস্ট মাসে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই মামলাতেই সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
সন্দীপকে আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুনের মামলায় গত ১৬ অগস্ট থেকে টানা জেরা করছিল সিবিআইয়ের অন্য একটি দল। এই ঘটনায় আপাতত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে আটদিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের আদালত।
সন্দীপ জেলে থাকলেও তাঁর একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তাঁর একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে বহরমপুরে। বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় রয়েছে ওই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এর আগে ক্যানিং ২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।