ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের উপরে গবেষণা করবেন, ঠিক হওয়ার পর ‘এথিক্স কমিটি’তে পাশ করিয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুমতি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসক। সেখান থেকেও ছাড়পত্রও চলে আসে। তারপর দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি, অর্থাৎ কোর্স শুরুর দেড় বছর পর সেই গবেষণা চলে যায় অন্য সহপাঠীর কাছে। কেন? আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার গবেষণার হাতবদলই এখন তদন্তের অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে। এই নিয়ে ঘনঘন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়, মেয়ের গবেষণাপত্র জোর করে অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে বলেছিল, ওর লেখা থিসিস পেপার অন্য এক জনকে দিয়ে দেন ভিপি (ভিজ়িটিং প্রফেসর)।
শনিবার সিবিআই এর তরফে মৃতার দুই সহপাঠী এবং বিশেষ বন্ধুকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্নাতকোত্তর স্তরে তিন বছরের পড়াশোনার মধ্যেই তাঁদের একটি গবেষণাপত্র লেখা বাধ্যতামূলক, যেটা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার আগে জমা দিতে হয়। কিন্তু কাজ শুরু করে দিতে হয় প্রথম বর্ষ থেকেই। দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি সময় হয়ে গিয়েছে বলে নির্যাতিতা চিকিৎসকের গবেষণাপত্রের কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে ডেকে অন্য গবেষণাপত্র বানাতে বলা হয়, এবং তাঁর গবেষণাপত্রটি অন্য এক সহপাঠীকে দিয়ে দেওয়া হয়। এরকম ঘটনা বেনজির বলেই জানিয়েছেন নির্যাতিতার সহপাঠী। মৃতার বিশেষ বন্ধু জানিয়েছেন, প্রভাবশালী এক জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক ছেলে নানা কলকাঠি নেড়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদ করার খেসারত দিতে হল কি না, তদন্ত করে দেখা হোক।
কার নির্দেশে, কেন এমন করা হয়েছিল? নির্যাতিতা পড়ুয়া চিকিৎসক তখন কোনও পদক্ষেপ করেছিলেন কিনা, তাঁর জেরেই এই পরিণতি কিনা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।