আরজি করের ঘটনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শোকজ নোটিস পাঠাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের উত্তর দিতে হবে সন্দীপকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠাতে পারে রাজ্য, শোকজের উত্তর মনঃপুত না হলে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে পারে রাজ্য। সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছাত্রনেতা বলে পরিচিত মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ৫ দফা দাবির অন্যতম ছিল, সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করতে হবে। ৩ অগাস্ট সন্দীপকে সাসপেন্ড করে রাজ্য। রাজ্যের তরফে সাসপেন্ড করার অর্থ, পশ্চিমবঙ্গের কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলে, ডাক্তার হিসেবে সারা দেশেই গণ্য হবেন না সন্দীপ। সেই পথেই কি হাঁটতে চলেছে রাজ্য? আপাতত সন্দীপকে শোকজ নোটিস পাঠিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।
লাগাতার ১৬ দিন জেরার পর আরজি কর কাণ্ডে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ১ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই, আপাতত ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে তিনি। ততদিনে অবশ্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ন্যাশনাল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন সাসপেন্ড করে দেয় সন্দীপকে।
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টেও বড় ধাক্কা খেয়েছেন সন্দীপ। আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, সন্দীপের সেই আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানাল, যে মামলায় তিনি নিজে অভিযুক্ত হয়ে সিবিআই হেফাজতে, সেই মামলা নিয়ে আপত্তি জানানোর কোনও এক্তিয়ার সন্দীপের নেই।