সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের শুনানির পর দরকার হলে ফের রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন, হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার জিবি বৈঠকের পর সেই পথেই হাঁটলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পানিহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই কর্মবিরতি চলছে।
নিরাপত্তার ইস্যুতে রাজ্য সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও এতদিন পরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা তারই উদাহরণ। তাই এই সিদ্ধান্ত।
ডাক্তারদের তরফে পেশ করা ৯ দফা দাবি হল,
১) নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার
২) স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ
৩) হাসপাতাগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা
৪) সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা
৫) হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা
৬) ছাত্র সংসদ নির্বাচন
৭) হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করা,
৮) থ্রেট কালচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা
৯) দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা
৩০ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব উঠে আসে। আরজি করের ঘটনার তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের সাত জনকে আপাতত সাসপেন্ড করার দাবি জানান আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তদন্তাধীন ব্যক্তিদের নামের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। রাজ্যের তরফে আশ্বস্ত করা হয়, নামের তালিকা পেলেই পদক্ষেপ করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
আরজি কর হাসপাতালের মামলায় এখনও পর্যন্ত ৪২টি পক্ষ রয়েছে। তাদের হয়ে দাঁড়িয়েছেন ২০০-র বেশি আইনজীবী। তার মধ্যে রয়েছে অন্যতম প্রধান ন’টি পক্ষ। সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি পুজোর পর, আগামী ১৪ অক্টোবর।