আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এর আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর চড়িয়ে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তবে, এই প্রথম ঘটনার জেরে কোনও সাংসদের ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সামনে এলো।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন বলেছেন,তিনি গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছেন আর ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেন সেই পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।
২০২১ সালের জুলাইতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে কেমব্রিজ প্রাক্তনীর নামের প্রস্তাব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ হওয়ার পর একাধিক ইস্যুতে দলের সঙ্গে জহর সরকারের মত বিরোধ হয়।
চিঠিতে জহর সরকার স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ, এমন অনাস্থা তিনি আগে দেখেননি। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চিঠিতে জহর সরকার আরও লিখেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে, এর মূল কারণ শাসক দলের কিছু পছন্দের আমলা, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশীশক্তির আস্ফালন।