আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় শহরের সমস্ত হাসপাতালেই নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। একই দাবি বাংলার সমস্ত সরকারি হাসপাতালের কর্মী চিকিৎসকেরা সেই নিয়ে সোচ্চার। ঘটনার দেড় মাস পর নড়ে চড়ে বসল প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় ওই হাসপাতালগুলিকে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। প্রাথমিক ভাবে ৫০০ টিরও বেশি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে আরজি করে।
আর জি করের সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাকেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যেই ১০০টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
হাসপাতালে সুরক্ষার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন কী ভাবছে, তা নিয়ে আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্টও।
এক পুলিশকর্তা জানান, আর জি করে বর্তমানে ১৯০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বাকি জায়গাগুলিও সিসি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হবে। আরও ৫০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। বর্তমানে সেখানে নিরাপত্তায় রয়েছে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকছেন কলকাতা পুলিশের ৬০ জন পুলিশকর্মীও।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে ৩৩০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা রয়েছে বলে খবর, এবার সব ক’টি ভবনের প্রতিটি তলাতেই সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা হবে। নতুন করে বসবে প্রায় ৪০০টি সিসি ক্যামেরা। যার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এই মুহূর্তে ১৩০ টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে, আরও ৬০০টি ক্যামেরা বসানো হবে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে রয়েছে ৩০০টি ক্যামেরা। সেখানে আরও ৮০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
এসএসকেএম হাসপাতালে ১২০০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আরও সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে।