আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার মামলায় জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। শীর্ষ আদালতের শুনানিতে চূড়ান্ত হতাশ আন্দোলনরত মহিলা জুনিয়র ডাক্তাররা।
৫ সেপ্টম্বর শুনানির তারিখ ধার্য থাকলেও পরে দিন পিছিয়ে ৯ তারিখ করা হয়। সোমবারের শুনানির পর রীতিমতো হতাশ আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে মহিলা জুনিয়র ডাক্তাররা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সুপ্রিম নির্দেশে। তিলোত্তমার বিচারের দাবিসহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। সেখানে সুবিচার পাওয়ার আগে কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া কেন? প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারীরা।
সরকারি হাসপাতালে ডিউটিতে থাকা মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার এক মাস পরেও মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়নি, পুরো হাসপাতালকে এখনও সিসিটিভি তে মুড়ে দেওয়াও হয়নি, দাবি তাঁদের। সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরতে হবে।
গোটা ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অভিভাবকের মতো নয়, এই মর্মে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। ঘটনার এক মাস কেটে যাওয়ার পরেও কেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেই প্রশ্নও তুললেন আন্দোলকারীরা।
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর শুনানি শুরু হওয়ার পর রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখনও জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুনানির পর রাজ্যের আন্দোলরত চিকিৎসকেরা বারবার দাবি করেন, একটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, সেক্ষেত্রে আরও চিকিৎসক নিয়োগ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। এছাড়াও আন্দোলরত চিকিৎসকেরা বারবার উল্লেখ করেন, রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় অভয়া ক্লিনিক খুলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, এবং সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র ডাক্তাররা ডিউটি করছেন।
আরজি করের ঘটনায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর।