আরজি করের প্রতিবাদ মিছিলে হামলার অভিযোগ আগেও উঠেছে। মহালয়ার রাতে ফের এমনই ঘটনা ঘটল কলকাতায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রতিবাদীদের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের নির্দেশেই মিছিলের উপর হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। মারধর থেকে শুরু করে ফোনও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার শহরজুড়ে মহামিছিলের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল হয়। পাশাপাশি একাধিক জায়গায় রাত পর্যন্ত কর্মসূচি চলে। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেন সাধারণ মানুষও। নাগরিক সমাজের এমনই এক মিছিলে টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকায় হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূরের নির্দেশে হামলা চালানো হয়।
করুণাময়ী বাজারের ভিতর কমপক্ষে ১০০ জনের জমায়েত ছিল। অভিযোগ, সেখানে অতর্কিত হামলা করেন কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজন। এক আন্দোলনকারী মহিলা জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন। হঠাৎ সামনে বস্তি থেকে কিছু লোক এসে ঠেলাঠেলি শুরু করে। তাঁর অভিযোগ, তিনি ফেসবুক লাইভ করতে তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তবে স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূরের দাবি, তিনি মিছিলের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। গণ্ডগোল হচ্ছে দেখে থামাতে যান তিনি। উল্টে তাঁর উপরেই চোটপাট কতরা হয়। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের একটাই কথা বলা হয়েছিল। ঠাকুর, হোর্ডিং ঢুকবে। রাস্তা বন্ধ করবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর জানিয়েছেন, তিনি কিছুই বলেননি। উলটে তাঁরাই মারধর করেছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে হামলার ঘটনা আগেও হয়েছে। কোচবিহার, নৈহাটি-সহ বাংলার একাধিক এলাকায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ অভিযোগ, শাসক দলের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন টালিগঞ্জের করুণাময়ী।