রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে । সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল রাজ্য । উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি চলাকালীন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য । অস্থায়ী কর্মী করা নিয়েও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য । এরপর বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে মহিলা নিরাপত্তারক্ষা কর্মী মোতায়েনের বিষয়টি জানায় রাজ্য ।
হলফনামায় রাজ্য জানিয়েছে, মোট ৯১০ জন অতিরিক্ত মহিলা নিরাপত্তাকর্মীকে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে মোতায়েন করা হবে। পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে ওই মহিলা নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে । এর আগে রাত্রি সাথী প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত ১,৫১৪ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের কথা জানিয়েছিল রাজ্য । মঙ্গলবার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টি ওঠে ।
আরজি করে কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাই সিভিক পুলিশের উপর কোনও পক্ষই আস্থা রাখতে চাইছে না। এই ঘটনার পর জুনিয়র চিকিৎসকরাও যে দাবি করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল হাসপাতালে যথাযথ নিরাপত্তা। সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তার বিষয়টি উঠতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চায়, জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেইসময় রাত্রিসাথী প্রকল্পের কথা বলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল । তিনি জানান, বেসরকারি সংস্থা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এনে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরাই হাসপাতালের নিরাপত্তায় থাকবেন।
এদিকে, ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী ও ইন্দিরা জয় সিং দাবি করেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিরাপত্তায় মোটেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না জুনিয়র ডাক্তার, নার্স বা অন্য মহিলা কর্মীরা। তাই সিভিক পুলিশকে সরিয়ে রাজ্য পুলিশকে নিয়োগ করার আবেদন করছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন । তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কীভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ করছে রাজ্য ? সরকারি হাসপাতালে পুলিশকর্মী রাখার পরামর্শ দেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় । এরইসঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে একটা কমিটি গঠন করারও নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।