আরজি কর কাণ্ড বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। তাই মৃত্যুদণ্ড নয়, আমৃত্যু যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। তবে সঞ্জয় রায়কে 'বেকসুর খালাস' করতে হাই কোর্টে আবেদন করবেন। ঘোষণা করলেন তাঁর আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী। তিনি জানান, হাইকোর্টে যাওয়া তাঁদের অধিকার। তাঁকে খালাস করানোর জন্যই হাই কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন, সঞ্জয় সেনের আরও এক আইনজীবী কবিতা সরকার।
ধর্ষণ ও খুনে একমাত্র দোষী কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে নিয়ে এই রায়ে খুশি নয় রাজনীতিকরা। তৃণমূল, সিপিএম উভয়ই এই শিবির নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। "এই নরপিশাচদেরর ফাঁসির সাজা হলে শান্তি পেতাম।" আরজি কর মামলার রায়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যের তিনটি ঘটনায় রাজ্য পুলিশ তদন্ত করেছিল। সব কটিতেই ফাঁসির সাজা হয়েছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মতে, রায় হওয়া মানেই কিন্তু বিচার নয়। কী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।