আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিচার চেয়ে প্রায় এক মাসের কাছাকাছি সময় ধরে আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা । এবার সেই আন্দোলনকে জুতো শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী । হাবড়ায় গনেশ পুজোর উদ্বোধনে এসে নারায়ণ গোস্বামী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদন করেন । তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা । এবার কাজে ফিরুন চিকিৎসকরা । তারপরই, চিনে জুতো শ্রমিকদের আন্দোলনের তুলনা টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করেন উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা পরিষদের সভাপতি ।
সংবাদমাধ্যমকে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, "আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে আবেদন জানাব, দয়া করে আপনারা হাসপাতালে ফিরুন । লক্ষ্য লক্ষ্য রোগীর হয়রানি হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছেন ।" আন্দোলন অন্যভাবেও করা যায়, সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি চিনে জুতো শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টানেন । বলেন,'চিনে দেখেছিলাম জুতো শ্রমিকরা আন্দোলন করেছিলেন, কারখানা বন্ধ করে নয় । বাঁ পায়ের জুতো বানিয়েছিলেন, ডান পায়ের বানানি । অর্থাৎ আন্দোলন বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। "
নারায়ণ গোস্বামীর মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বাঁধছে । সমালোচনাক ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে । বিজেপি যুব নেতা দেবজ্যোতি দাম বলেন, "তৃণমূলের ছুটির ঘণ্টা বেজে গিয়েছে । সাধারণ মানুষের যে জনরোষ,তার সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতাদের এখন মাথা ঠিক নেই । কী বলবেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন না । ...সাধারণ মানুষের প্রতিবাদকে হেয় করার চেষ্টা করছে তৃণমূল । তাঁরা বুঝতে পেরেছে এই প্রতিবাদ যদি দীর্ঘদিন চলে, তাহলে তাঁদের চেয়ার ভেঙে পড়ে যাবে ।"
উল্লেখ্য, আন্দোলন তুলে নিতে বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রাজ্য সরকার, সকলেই । কিন্তু, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি, তাঁদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । তাঁদের দাবি, চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ চালু রয়েছে । সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিচ্ছেন । সম্প্রতি,সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । অভয়া ক্লিনিক চালু করা হয়েছে । সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ক্লিনিকে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে । জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রোগী দেখেন সিনিয়রেরাও।