আর জি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে সন্দীপ ঘোষের । এমনই পর্যবেক্ষণ শিয়ালদহ আদালতের । শুধু আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ নয়, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত টালা থানার ওসিকেও ফাঁসি-র মতো কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের ।
উল্লেখ্য, আর জি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয় । কারণ, আদালত মনে করে, সন্দীপদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর ।
শিয়ালদহ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অভিজিৎ টালা থানার পুলিশকর্তা ছিলেন । সন্দীপ এক জন চিকিৎসক । তাই তাঁদের সামাজিক অবস্থান এড়িয়ে যাওয়া যায় না । তাঁদের বিরুদ্ধে যে সব গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে । তাই অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত হবে না । তবে,সন্দীপ ঘোষদের পলিগ্রাফ এবং নারকো পরীক্ষার শুনানির যে আবেদন করেছিল সিবিআই, তা মঞ্জুর করেছে আদালত ।
আর জি করের ঘটনার ৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে । এখনও তদন্ত চলছে । এখনও বিচার পায়নি আর জি করের নির্যাতিতা । বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার । এখনও এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দু'বার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই । শেষ শুনানিতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় । তিনি জানিয়েছিলেন, সিবিআই রিপোর্টে যা দিয়েছে, তা পড়ে তাঁরা বিচলিত । প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত এখন ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়’ রয়েছে । এই ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনে সিবিআইয়ের আরও সময় লাগবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ।
এদিকে পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানির তারিখ । রাজ্যের তরফে আরজি কর শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়। রাজ্যের তরফে আইনজীবী আস্থা শর্মা আবেদন জানিয়েছিলেন, ২৭ তারিখের বদলে শুনানি হোক ৩০ সেপ্টেম্বর। তাতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য ছিল, শুনানি পিছনোর ব্যাপারে সবপক্ষের মতামত জানা জরুরি। এরপর সবপক্ষের মত নিয়েই শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে । ৩০ সেপ্টেম্বরই মামলার পরবর্তী শুনানি ।