জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা । কিন্তু, প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিচ্ছেন না । সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী । তারই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেছিলেন, সব জরুরি কাজই করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা । বিচারপতির এই মন্তব্যের পর কি আংশিক কর্মবিরতি তুলে নেবেন তাঁরা ? আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা অনিকেত মাহাত জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের কপি হাতে পাওয়ার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন ।
সোমবার আরজি কর মামলার শুনানি হয় সুপ্রিমকোর্টে । শুনানির সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয় জুনিয়র ডাক্তাররা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন । আইপিডি ও ওপিডিতে কাজ করছেন না। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং রাজ্যের বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় সব পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । এই প্রসঙ্গে, অনিকেত মাহাত বলেন, "IPD পরিষেবার যতটা এমার্জেন্সির সঙ্গে লিঙ্ক, সেই পরিষেবাটা আমরা দিচ্ছি । ওপিডি পরিষেবার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল এমওডিআর যাঁরা, তাঁরা একটা অংশ কাজে ছিলেন । সিনিয়র চিকিৎসকরা একটা অংশ কাছে ছিলেন । জুনিয়র চিকিৎসকরা ছিলেন না ঠিকই । " তাই আদালতের অর্ডারের কপি হাতে পাওয়ার পরই তাঁরা তাঁদের কর্মবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন ।
অনিকেত মাহাত-র অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফে বৈঠকে তাঁদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও পুরো বাস্তবায়িত হয়নি । তাঁর কথায়,"কিছু সিসি ক্যামেরা লেগেছে। কিন্তু সেগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য যে ওয়াশরুমের দাবি করেছিলেন, তার কাজ শুরু হয়নি । এছাড়া, তাঁদের বাকি দাবি নিয়েও কাজে কোনও অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ তাঁর । তবে, সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ।