নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের ‘মাথাদের’ কাছে কেন পৌঁছতে পারছে না সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে একাধিকবার ভর্ৎসনা করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতির বিশাল অঙ্কের টাকা যাঁদের কাছে পৌঁছেছে, তাঁদের ধরে আদালতে হাজির করানো হোক।
২২ গজের ভাষায় বিচারক এ দিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে বলেন, ‘‘আর কত দিন স্পিন বল করবেন? এ বার জোরে বল করুন। ওয়াসিম আক্রম জোরে বল করতেন।’’ ঘটনাচক্রে এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের নাম ওয়াসিম খান।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি দাসকে এ দিন বিশেষ আদালতে তোলা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, 'ফিক্সড রেট'এর বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। লেনদেনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘গোটা দুর্নীতিতে দু’টি স্তম্ভ রয়েছে। একটি স্তম্ভ টাকা নিয়েছে। অন্য স্তম্ভের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের কাছে টাকা পৌঁছেছে, তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জোর করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে, লিখিত ভাবে আদালতে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন কুন্তল। অভিযুক্ত বা তাঁর আইনজীবী এত দিন এজলাসে এই ধরনের অভিযোগ করেননি কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারক শুনানি শেষে কুন্তল-সহ তিন জনকেই ২০ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে পাঠায় আদালত।