সাড়ে তিন শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু বিষ্ণুপুরের রথ উৎসব রয়েছে এক্কেবারে একই রকম৷ মল্লগড়ে সময় যেন থমকে থাকে রথযাত্রার দিনে।
মল্ল রাজাদের সুপ্রাচীন এই রথযাত্রায় ৩৫০ বছরেরও বেশি প্রাচীন রথের রশিতে টান দিলেন অগণিত ভক্ত। রথে সওয়ার হলেন ঠাকুর রাধা মদন গোপাল জিউ৷
১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দ। তখনও বঙ্গে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠা হতে প্রায় ১০০ বছর দেরি৷ দিল্লিতে দোর্দণ্ডপ্রতাপ মুঘল সাম্রাজ্য৷ সেই সময় বিষ্ণুপুর শহরের মাধবগঞ্জে মল্লরাজা বীর সিংহের রানী শিরোমণি মাকড়া পাথরের মদন গোপাল মন্দির নির্মাণ করেন৷ মন্দিরের আদলেই তৈরি হয় পিতলের রথ। তখন থেকেই হয়ে আসছে রথযাত্রা।
রথের দিন রাধা মদন গোপালের বিগ্রহকে বাজনা ও কীর্তন-সহ নিয়ে আসা হয় রথে। এখানকার বিশেষত্ব হল রথে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম সওয়ার হন না। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এই বছরও প্রবল উন্মাদনা। মন্দির চত্বরে বহুবিধ অনুষ্ঠান৷ দেবভোগের প্রসাদের জন্য উপচে পড়া ভিড়৷ সবমিলিয়ে জমজমাট রথযাত্রা।