খুন (Baguiati Murder) করার লক্ষ্যেই অপহরণ করা হয়েছিল দুই কিশোরকে । এর সঙ্গে মুক্তিপণের কোনও যোগ নেই । বাগুইআটির দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই দাবি করলেন বিধাননগর (Bidhannagar) পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ । মুক্তিপণের বিষয়টা (Baguiati Students Murder) পুরোটাই একটা 'নাটক' বলে দাবি পুলিশের । টাকাপয়সা সংক্রান্ত কিছু বিষয় সামনে এলেও, পুলিশের ধারণা, অন্য কোনও কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁদের ।
অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম উঠে আসছে । বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধানের দাবি, সত্যেন্দ্রর সঙ্গে অতনুর পরিবারের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। ২২ অগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরেই সত্যেন্দ্রর ফোন পায় অতনু। একটি বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্রকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল অতনু। ওই দিন অতনুকে ফোন করে তিনি বাইক কেনার জন্য ডাকেন। অতনু বাইক কেনার জন্য অভিষেককেও সঙ্গে নেয়। সত্যেন্দ্র একটি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। সেই গাড়িতেই সকলে মিলে রাজারহাটে একটি বাইকের শোরুমে যান। কিন্তু বাইক পছন্দ হয়নি বলে কিনতে চাননি সত্যেন্দ্র। এর পর তাঁরা শোরুম থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরেন। বিধাননগর পুলিশের দাবি, রাত ৯টা-১০টার মধ্যে গাড়ির মধ্যেই দুই কিশোরকেই গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়। গাড়িতেই ছিল দড়ি। তা দিয়েই গলায় ফাঁস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, Baguiati Students Murder : মর্গে ১০-১২ দিন পড়েছিল দুই কিশোরের দেহ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
কিন্তু, খুনের পরেও অতনুর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে । এসেছিল এসএমএসও। সেখানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয় । পরে সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ১ কোটি চাওয়া হয় বলে বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধানের দাবি । গোয়েন্দা প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘‘এটা খুনের উদ্দেশ্যেই অপহরণ। কারণ, মুক্তিপণ চেয়ে যারা ফোন করে, তারা সাধারণত এত দ্রুত পণের অঙ্ক বদল করে না।’’ তাঁর ধারণা, আসলে এ সব করা হয়েছিল পরিবার এবং পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়েই অতনুর সঙ্গে সত্যেন্দ্রর বিবাদের সূত্রপাত । কিন্তু তার মধ্যে অভিজিৎ বসু কোথা থেকে এলেন, বা বাকি যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরই বা কি যোগ রয়েছে,এসব প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে না পুলিশ । তাই সত্যেন্দ্রকে দ্রুত গ্রেফতার করতে চাইছে পুলিশ । সত্যেন্দ্রকে পেলেই সবটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ ।