রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুইয়ে 'হত্যাকাণ্ড' নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত বহু পরিবার। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে মঙ্গলবারই বগটুই গ্রামে যান দমকলের ডিজি (DG Fire) অভিজিৎ পাণ্ডে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের দেখা পাওয়া যায়নি। থমথমে পরিবেশ, রাতেই গ্রাম ছেড়েছেন অনেকেই। গ্রাম ছেড়েছে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবারও (Bhadu Sheikh Family)। রাতের রামপুরহাট যেন আতঙ্কপুরীতে পরিণত হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ রামপুরহাটের ১ নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। এরপরই রাত বাড়তে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগের তির বিজেপির (BJP) দিকে। তিন-চারটি বাড়িতে পরপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপুরহাটে বগটুইয়ে পরিস্থিতি দেখতে আজ ঘটনাস্থলে বাম-বিজেপি প্রতিনিধি দল
ভাদু শেখের হত্যার পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। চাপা আতঙ্ক গ্রাস করেছে এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা ৭টা নাগাদ বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র ইঞ্জিনভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে গ্রাম ছাড়ে ভাদুর পরিবার। পরিবারের ১৬ জন সদস্য গ্রাম ছাড়েন। ভাদুর পরিবারের বক্তব্য, নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কারণেই গ্রাম ছাড়লেন তারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেক পরিবারই গ্রাম ছেড়েছেন। যারা গ্রামে আছেন, তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কীসের এই চাপা আতঙ্ক, বলতে চাইছেন না কেউই।
সোমবার সন্ধেয় রামপুরহাটের ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। চলতে থাকে দেদার বোমাবাজি। আতঙ্কে ঘরের ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে দেন বাড়ির মহিলারা। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। বাইরে থেকে পেট্রল ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একাধিক বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ।