আজ রাখি পূর্ণিমা । ভ্রাতৃত্বের উৎসব । বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির উৎসব । গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হচ্ছে রাখি । রাখি শুধুই যে ভাই-বোনের সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ তা নয় । এ বন্ধন তো আসলে বন্ধুত্বের, একে অপরকে রক্ষা করার । জেলায় জেলায় সেই ছবি চোখে পড়ল । কোথাও পথচলতি মানুষদের রাখি পরিয়ে উদযাপন হল ভাতৃত্বের উৎসবের । কোথাও রাখি পরলেন সংশোধনাগারের বন্দিরা । রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাও পালন করলেন রাখি বন্ধন উৎসব ।
ক্রীড়া দফতরের তরফে রাখি বন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন , মনোজ তিওয়ারি । তাঁদের হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন সাংসদ জুন মালিয়া, শতাব্দী রায়রা । রাখি পরানোর পর চলল মিষ্টিমুখও ।
অন্যদিকে, যাদবপুর ৮ বি-তে রাখি বন্ধন উৎসবে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় । দলের নেতা-কর্মী থেকে পথচলতি মানুষদের হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন লকেট । বিজেপি নেত্রীর হাতেও রাখি পরিয়ে দেন অনেকেই । চকোলেটও বিতরণ করা হয় ।
পশ্চিম বর্ধমানে কাঁকসা বসন্ত উৎসব কমিটির তরফে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত করা হল । রাখি যেমন ভাই-বোনের উৎসব, তেমনই সম্প্রীতিরও উৎসব । রবি ঠাকুরের রাখি বন্ধনের ভাবনাকে মাথায় রেখে ও কবিগুরুকে স্মরণ করে রাখি পালন করল কাঁকসা বসন্ত উৎসব কমিটি । পথ চলতি মানুষকে হাতে রাখে পরিয়ে দিলেন কমিটির সদস্যরা । চকোলেটও বিতরণ করা হল । রবি ঠাকুরের গানে গানে পালন করা হল রাখি উৎসব । দমদম সুলতানপুরেও একই ছবি দেখা গেল ।
অন্যরকম ছবি বসিরহাটে । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে বন্দীদের হাতে রাখি পরিয়ে ধূমধাম করে রাখি পালন করা হল । বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে ২৬ জন বাংলাদেশী বন্দী রয়েছেন । কাঁটাতারের ওপারে তাঁদের ঘর-পরিবার । বছরের পর বছর রাখি কেটে যাচ্ছে এই সংশোধনাগারে । কতদিন বোনেদের দেখেননি তাঁরা, কতদিন বোনের হাত থেকে রাখি পরেননি তাঁরা । সেই কষ্ট এবার কিছুটা হলেও দূর হল । বাংলাদেশী বন্দীদের হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা । রাখি বন্ধন উৎসবের পর হল মিষ্টিমুখ ।