এবার গরমের বলি এক অন্তঃসত্ত্বা। মৃতের নাম মল্লিকা লেবু। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার নাজিরগঞ্জের চুনাভাটি এলাকায়। তবে কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু, তা জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিবার সূত্রে খবর, মল্লিকা মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে প্রাণ হারালেন যাদবপুর বিদ্যাপিঠের ওই ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর নাম অনিশা আফরিন মণ্ডল।
তবে এখনও তীব্র গরমেও নিস্তার নেই রাজ্যবাসীর। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা বাদে বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ চলবে। বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ,পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে আগামী দু'দিন এই অবস্থা জারি থাকবে।
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আশার খবর শুনিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। ২৯ তারিখের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় ঝড় বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আগামী মাসের ২ তারিখ থেকে কিছু কিছু জেলায় ঝড় বৃষ্টি হবে। ২৮ তারিখ পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়্ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হবে। তবে মালদা, দুই দিনাজপুরে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধু তাই নয়, এপ্রিলেই হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য। ভ্যাপসা গরমে গলদঘর্ম অবস্থা শহরবাসীর। যদিও প্রতি এপ্রিলেই চোখ রাঙায় গরম, কিন্তু এবারের চোখরাঙানি অনেকটাই বেশি। ২০১৬ সালের পর আবারও এপ্রিলেই হাঁসফাঁস করছে কলকাতা। শুধু কলকাতাই নয়, তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণের ৭টি জেলা।
২০১৬ সালে কলকাতায় এপ্রিলে ৪১ পেরিয়ে গিয়েছিল উষ্ণতার পারদ। ২০২১-এর এপ্রিলেও কলকাতার তাপমাত্রার পারদ চল্লিশের কাছেই ঘোরাঘুরি করেছে। রবিবার কলকাতায় ছিল এই মরশুমের উষ্ণতম দিন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি।